এর জন্য দায়ী করে পরিবহন ঠিকাদার হিসেবে কাজ করা নবাব অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ নবাব খানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
সিটিটিসির উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা ১ লাখ ৮৩ হাজার টন সার বন্দর থেকে সরকারের আপৎকালীন (বাফার) গুদামে পৌঁছে দিতে নবাব অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে ৭টি পরিবহন চুক্তি করে বিসিআইসি। এসব সার ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে খালাস হয়। কিন্তু বিসিআইসি বারবার তাগাদা দিলেও ৬৪ হাজার টন সার সরকারি গুদামে পৌঁছায়নি পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
সারগুলো বন্দর থেকে খালাস করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রাখে। কারণ, চট্টগ্রাম ও মোংলায় বিসিআইসির নিজস্ব গুদাম নেই। পরে সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিসিআইসি ৬৪ হাজার টন সার না পেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় প্রতিষ্ঠানটির উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আবু সাঈদকে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরিয়া সার বন্দর থেকে খালাসের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯টি নিজস্ব গুদামে তা মজুত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।