দেশে এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল নামে দুটি গ্রিড আছে। ঈশ্বরদী-ঘোড়াশাল এবং সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ—এ দুটি লাইনের মাধ্যমে দুই গ্রিড সংযুক্ত আছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলছেন, ৪ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ করেই ঘোড়াশাল উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখানে উৎপাদিত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চলে যায় পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী এলাকায়।
এতে পূর্বাঞ্চল গ্রিডে ঘাটতি তৈরি হয়। একই সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় বরাদ্দের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে থাকে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এতে গ্রিডে বিদ্যুতের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ লাইনের উপকেন্দ্র। পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল থেকে। এতে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। পুরো গ্রিডে নেমে আসে বিপর্যয়।
ঘটনাটি ঘটে ৪ অক্টোবর বেলা ২টা ৫ মিনিটে। পূর্বাঞ্চল জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের একটি বড় অংশ টানা চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ ফিরে এলেও কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ আসে আট ঘণ্টা পর।