36 views
in সাধারণ জ্ঞান by (2,068 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
by (2,068 points)

উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের মধ্যে সমন্বয়হীনতাই ঝুঁকি তৈরি করছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎ সরবরাহের এ প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করা যায়নি। তাই ফোনে ফোনে নির্দেশনা দিয়ে জাতীয় গ্রিডে চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য রক্ষা করতে হয়। এতে হেরফের হলেই ঘটতে পারে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। সাম্প্রতিক গ্রিড বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও এমন অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।

গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে দেশের একমাত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) গঠিত তদন্ত কমিটির একাধিক সদস্য বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার রাতে তদন্ত প্রতিবেদনটি বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে জমা দিয়েছে পিজিসিবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব আলী চৌধুরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এর বাইরে বিদ্যুৎ বিভাগ গঠিত আরও একটি তদন্ত কমিটি গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে কাজ করছে।

পিজিসিবি তদন্ত কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, মূলত দুটি কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। এর একটি হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে সমন্বয়ের অভাব। আর দ্বিতীয়টি হলো বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার বিধিবদ্ধ নিয়ম (রুল বুক) ও গ্রিড কোড কঠোরভাবে না মানা।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হয়ে বিতরণ কোম্পানির কাছে সরবরাহের কাজটি করে জাতীয় গ্রিড। এটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে পিজিসিবির অধীনে থাকা সংস্থা ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টার (এনএলডিসি)। বিদ্যুৎ সরবরাহ কমলে তারা বিতরণ কোম্পানিকে লোডশেডিং করার নির্দেশনা দেয়। এটি সময়মতো করা না গেলে বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়।

দেশে এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল নামে দুটি গ্রিড আছে। ঈশ্বরদী-ঘোড়াশাল এবং সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ—এ দুটি লাইনের মাধ্যমে দুই গ্রিড সংযুক্ত আছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলছেন, ৪ অক্টোবর দুপুরে হঠাৎ করেই ঘোড়াশাল উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখানে উৎপাদিত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চলে যায় পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী এলাকায়।

এতে পূর্বাঞ্চল গ্রিডে ঘাটতি তৈরি হয়। একই সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় বরাদ্দের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে থাকে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এতে গ্রিডে বিদ্যুতের সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ লাইনের উপকেন্দ্র। পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল থেকে। এতে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। পুরো গ্রিডে নেমে আসে বিপর্যয়।

ঘটনাটি ঘটে ৪ অক্টোবর বেলা ২টা ৫ মিনিটে। পূর্বাঞ্চল জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের একটি বড় অংশ টানা চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ ফিরে এলেও কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ আসে আট ঘণ্টা পর।

11,557 questions

13,527 answers

32,853 comments

484,301 users

  1. toiletletter13

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  2. spongewriter20

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  3. vesseltwig3

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  4. salmonsort2

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  5. limitpencil88

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  6. veinarea29

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  7. damagebonsai32

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

  8. chordstate3

    50 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 টি প্রশ্ন

37 Online Users
10 Member 27 Guest
Today Visits : 13270
Yesterday Visits : 84393
Total Visits : 8981304
...