রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা নূর নাহার তনিমা। তিনি বৃত্তি পেয়ে কম খরচে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকে পড়ছেন। তাঁর স্বামীও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। নূর নাহার জানালেন, তিনি সাদাছড়ি ছাড়া ঘরের বাইরে বের হন না। সাদাছড়ি ব্যবহার করে বাজার করা, বাসে যাতায়াতসহ সব কাজই একা করেন। তবে তিনি দেশে বানানো ২০০ টাকা দামের সাধারণ সাদাছড়ি ব্যবহার করেন। ডিজিটাল সাদাছড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে পারেননি।
নূর নাহার বললেন, সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে ডিজিটাল সাদাছড়ি কাঁপতে থাকে বা সংকেত দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটপাতে গাছ, দোকান, গর্ত থেকে শুরু করে সবই আছে। টেকটাইল বা প্রতিবন্ধীবান্ধব ফুটপাত তৈরির উদ্যোগও সীমিত। ফলে ডিজিটাল সাদাছড়ি কী দেখে যে সংকেত দেয়, সেটা বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন ভিজ্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাদাছড়ি ব্যবহারসহ নিরাপদে পথচলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে ডিজিটাল সাদাছড়ি চার মিটার দূর থেকেই সংকেত দিতে শুরু করে। কিন্তু আমাদের দেশে যানবাহনের হর্নের শব্দসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় এ ছড়ির সংকেতগুলো অনুসরণ করতে পারছেন না প্রতিবন্ধী মানুষেরা। সম্প্রতি কুমিল্লায় একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি খোলা ম্যানহোলে পড়ে মারা গেছেন। সাদাছড়ি তো বলতে পারছে না ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা। তাই ডিজিটাল সাদাছড়ির পাশাপাশি চলাচলের পরিবেশেও পরিবর্তন আনতে হবে।