মুক্তির পর মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত হাওয়া ছবিটি নানা শ্রেণির দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেই ছবিতে একটি পাখিকে খাঁচাবন্দী রাখা এবং অবশেষে একটি চরিত্রের সেটিকে খেয়ে ফেলতে দেখানোর কারণে পরিচালকের নামে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে মামলার আবেদন করেছিল বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের চিত্রনির্মাতারা প্রশ্ন রেখেছেন, পর্দায় দেখানো কোনো চরিত্রের অপরাধের বিরুদ্ধে বাস্তব আইনে মামলা হতে পারে কি না। গল্পের খাতিরে পর্দায় কোনো মানুষকে হত্যা করতে দেখালে কি চলচ্চিত্রকারের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে?
তিন বছর ধরে সেন্সরবোর্ডে আটকে রাখা হয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র শনিবার বিকেল। এমনকি ছবিটিকে কেন সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তা–ও সরয়ার ফারুকীকে পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। অথচ ইতিমধ্যেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক উৎসবে ছবিটির প্রদর্শনী হয়েছে এবং জিতেছে পুরস্কার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফারুকী। প্রতিবাদ করেছেন দেশের অন্যান্য পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরাও।
এ পরিস্থিতিতে গত আগস্ট মাসের শেষে কিছু দৃশ্য কর্তন ও সংশোধনের শর্তে ছবিটি মুক্তির আশ্বাস পাওয়া গেছে। কিন্তু নির্মাতা জানিয়েছেন, ছবিটি নির্মিত একটিমাত্র শটে। এ ছবিতে কোনো দৃশ্য কর্তন বা সংযোজন করলে ছবিটিই নষ্ট হয়ে যাবে। এ ছাড়া মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রশ্ন করেন, কোনো চলচ্চিত্রে কোনো দৃশ্য সংযোজনের কথা বলার এখতিয়ার সেন্সর বোর্ডের আছে কি না। তবে তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে পারিনি বলে এ নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। আমি বিশ্বাস করতে চাই, তিনি কোনো দৃশ্য সংযোজনের কথা বলেননি। সমস্যা থাকলে বহু উপায়েই তার সমাধান সম্ভব।’